এসএম জামাল :
কুষ্টিয়ায় স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থার ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে শহরের একটি রেস্তোঁরায় কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহরাব হাসান মুশফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমান, কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অজয় মৈত্র, মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাষ্টর কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রুহুল আমিন, মানুষ মানুষের জন্য সংগঠনের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মিলন, উশু এসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি এসএম জামাল, সাধারন সম্পাদক বিপুল হোসেন, সময়ের দিগন্ত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন বলেন, যুবরাই দেশকে এগিয়ে নেবে। তাদের হাত ধরেই আসবে অগ্রগতি। সেজন্য যুব সমাজকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে হবে, দক্ষ করে তুলতে হবে, সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এই সংগঠনটি মানুষের কল্যানে কাজ করছে জেনে আমি ভীষণ আনন্দিত। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সংগঠনের সকল সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমান ‘স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’ তারা নিজেদের অর্থে যে সকল কাজ করে চলেছেন এটা প্রকৃত কাজ। তারা অবশ্যই সমাজের সব থেকে মর্যাদাবান। তাদেরকে সমাজ অব্যই মনে রাখবে। বিশেষ করে রক্তের প্রয়োজনে কেউ ফোন করে রক্ত পায়নি এমন কোন রেকর্ড নেই। অনেক সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে অসংখ্য ভাল কাজ করে যাচ্ছে স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’ সংগঠনটি। আমি এই সংগঠনের মঙ্গল কামনা করি।
অনুষ্ঠানে ‘স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’র সহ-সভাপতি ফারছা নাহার নৌশী, সদস্য আকাশ,ওবায়দুল, সাব্বির, চমক,তানজিল, রাব্বি,ওমর,সাইম,ইয়াসমিন, আবিদ, সোহান, বিপাশাসহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ‘স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’ সংগঠনটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ২০১৮ সালে। অনেক চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়ায় অসহায় মানুষদের নিকট আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি। সম্প্রতি, সামাজেক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বীকৃতি স্বরুপ সেরা সংগঠনের জন্য জাগ্রত সম্মাননা লাভ করেছে ‘স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’।
‘স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠন পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় সাড়ে ৫ হাজার ব্যাগ রক্ত বিভিন্ন মুমূর্ষ ব্যক্তিদের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা করে দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়াও বর্তমানে সংগঠনটিতে ডোনার (স্বেচ্ছায় রক্তদানে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তি) সংখ্যা রয়েছে প্রায় শতাধিক।